নবিজীর হারিয়ে যাওয়া কিছু গুরুত্ব পুর্ণ সুন্নত
নবীজির সুন্নত আঁকড়ে ধরা এবং তাকে অনুসরণের মধ্যেই মানুষের সফলতা। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য কর। যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হতে পার।’ (আলে ইমরান: ১৩২)
‘সুন্নত হলো- আকিদা, মধ্যমপন্থা, কথা ও কর্মগত দিক দিয়ে রাসুলুল্লাহ (স.) ও তাঁর সাহাবিগণ যার ওপরে ছিলেন’ (মাজমু ফতোয়া: ৫/১১১)
১. আইয়ামে বিজের রোজা রাখা
ইবনু মিলহান আল-কায়সি (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) আইয়ামে বিজ অর্থাৎ চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সওম পালনে আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, এগুলো সারাবছর সওম রাখার সমতুল্য। (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৪৯ তাহকিককৃত)
২. জুমাবারে বেশি বেশি দরুদ পড়া
আওস ইবনু আওস (রা.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমার দিন। এদিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এদিনই তাঁর রূহ কবজ করা হয়েছিল, এদিন শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেওয়া হবে এবং এদিনই বিকট শব্দ করা হবে। কাজেই এদিন তোমরা আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়। আওস ইবনু আওস (রা.) বলেন, লোকজন প্রশ্ন করল- হে আল্লাহর রাসুল! কী করে আমাদের দরুদ আপনার নিকট পেশ করা হবে? আপনি তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেন। বর্ণনাকারী আওস ইবনু আওস (রা.) বলেন, লোকেরা বুঝাতে চাচ্ছিল আপনার শরীর তো জরাজীর্ণ হয়ে মিশে যাবে। রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ মাটির জন্য নবী-রসূলগণের দেহকে হারাম করে দিয়েছেন। (আবু দাউদ: ১০৪৭ তাহকিককৃত)
৩. সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় বাচ্চাদের বাইরে যেতে না দেওয়া
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, ‘যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে অথবা বলেছেন, যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে আটকে রাখবে। কেননা এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিক্রান্ত হবে তখন তাদেরকে ছেড়ে দিতে পার। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না। (সহিহ বুখারি: ৩৩০৪)
৪. অজু করে ঘুমানো বারা ইবনে আজেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যখন তুমি বিছানায় যাবে, তখন তুমি অজু করবে—নামাজের সময় যেমন করো। অতঃপর ডান পাশে ফিরে শয্যাগ্রহণ করবে।...’ (সহিহ বুখারি: ৬৩১১)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা তোমাদের দেহগুলোকে পবিত্র রাখবে, আল্লাহ তোমাদের পবিত্র করুন। যদি কোনো বান্দা অজু অবস্থায় ঘুমায় তাহলে তার পোশাকের মধ্যে একজন ফেরেশতা শুয়ে থাকেন। রাতে যখনই এ ব্যক্তি নড়াচড়া করে তখনই এ ফেরেশতা বলেন, হে আল্লাহ আপনি এ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিন, কারণ সে অজু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৩/৩২৮; আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১/৩১৭)
৫. আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
কাউকে পছন্দ করলে তাকে বলা যে আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। আনাস ইবনে মালিক (রা.) সূত্রে বর্ণিত, এক লোক নবী (স.)-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্য এক ব্যক্তি সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। লোকটি বললো- হে আল্লাহর রাসূল! আমি অবশ্যই এ ব্যক্তিকে ভালোবাসি। নবী (স.) তাকে বললেন- তুমি কি তাকে তোমার ভালোবাসার কথা জানিয়েছ? সে বলল, না। তিনি (স.) বললেন- তুমি তাকে জানিয়ে দাও। বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং সে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলল- আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। সে বললো, আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। সে বলল, যাঁর উদ্দেশ্যে আপনি আমাকে ভালোবাসেন তিনিও আপনাকে ভালোবাসেন। (আবু দাউদ: ৫১২৫, তাহকিককৃত)
৬. উপরে ও নিচে যাওয়ার সময় জিকির
উঁচু স্থানে উঠতে আল্লাহর বড়ত্ব প্রকাশ স্বরূপ ‘আল্লাহু আকবর’ এবং নিচে নামতে ‘সুবাহানাল্লাহ’ বলা সুন্নত। জাবির (রা.) বলেন-‘আমরা যখন উপরের দিকে উঠতাম, ‘আল্লাহু আকবার’ ও যখন নিচের দিকে নামতাম তখন ‘সুব্হানাল্লাহ’ বলতাম।’ (বুখারি: ২৯৯৩) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী (স.) ও তাঁর সেনাবাহিনী যখন উঁচু জায়গায় চড়তেন তখন আল্লাহু আকবর বলতেন। আর যখন নিচু জায়গায় নামতেন তখন সুবহানাল্লাহ’ বলতেন। (আবু দাউদ: ২৫৯৯)
দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, বর্তমানে এই সুন্নতটি আমাদের মাঝ থেকে প্রায় বিদায় নিয়েছে। তাই এটিকে পুনর্জীবিত করা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ কাজ।
৭. ফজরের পরে না ঘুমানো
নবী (স.) বলেন, হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে ভোরের বরকত দান করুন।’ (আবু দাউদ: ২৬০৬) সালফরা ফজরের পর ঘুমানোকে মাকরুহ মনে করেতেন। উরওয়া ইবনু জুবাইর (রহ.) বলেন, জুবাইর (রা.) তাঁর সন্তানদেরকে ভোরবেলা ঘুমানোর ব্যাপারে নিষেধ করতেন। উরওয়া (রহ.) বলেন, ‘আমি যখন কারো সম্পর্কে শুনি, সে ভোরবেলা ঘুমায় তখন তার প্রতি আমি আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৫/২২২) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) তাঁর এক সন্তানকে ভোরবেলা ঘুমাতে দেখে বলেছিলেন- ‘ওঠো, তুমি কি এমন সময়ে ঘুমিয়ে আছ, যখন রিজিক বণ্টন করা হচ্ছে?’ (জাদুল মাআদ: ৪/২৪১)
৮. বাচ্চাদের সালাম দেওয়া
শিশু হলেও তাকে সালাম দেওয়া সুন্নত এবং তা বিনয়ীর একটি নিদর্শন। আমাদের মহানবী (স.) পথে চলাকালে ছোট শিশুদেরকে সালাম দিতেন। (সহিহ বুখারি: ৬২৪৭, তাওহিদ পাবলিকেশন)
৯. বাসা থেকে বের হওয়ার সময় দুই রাকাত নফল নামাজ
মহানবী (স.) বলেন, ‘যখন তুমি তোমার ঘর থেকে বের হওয়ার সংকল্প করবে, তখন দুই রাকআত নামাজ পড়; তোমাকে বাহির পথের সকল মন্দ থেকে রক্ষা করবে। আবার যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে তখনও দুই রাকআত নামায পড়; তোমাকে প্রবেশ পথের সকল মন্দ থেকে রক্ষা করবে।’ (বাজজার, বায়হাকি, শুআবুল ঈমান, জামে: ৫০৫)
১০.সালাতুত দোহা বা চাশতের নামাজ পড়া
সালাতুত দোহা বা চাশতের নামাজ মোস্তাহাব নফল। চাশতের নামাজের রয়েছে বিরাট মাহাত্ম্য ও সওয়াব। হযরত আবু জার (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (স.) বলেন, ‘প্রত্যত সকালে তোমাদের প্রত্যেক অস্থি-গ্রন্থির ওপর (তরফ থেকে) দাতব্য সদকাহ রয়েছে; সুতরাং প্রত্যেক তাসবিহ হলো সদকাহ, প্রত্যেক তাহমিদ (আলহামদু লিল্লাহ পাঠ) সদকা, প্রত্যেক তাহলির (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ) সদকা, প্রত্যেক তাকবির (আল্লাহু আকবর পাঠ) সদকা, সৎকাজের আদেশকরণ সদকা এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধকরণও সদকা। আর এসব থেকে যথেষ্ট হবে চাশতের দুই রাকআত নামাজ।’ (মুসলিম: ৭২০)
১১. মেসওয়াক করা
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, মেসওয়াক মুখের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উপায়। (নাসায়ি: ১/৫০), আহমদ: ৬/৪৭, ৬২)
১২. তাহিয়্যাতুল অজু আদায় করা
নবী (স.) বলেছেন, ‘যে মুসলিম সুন্দরভাবে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু’রাকাআত সালাত আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। (সহিহ মুসলিম: ৪৪১, হাদিস একাডেমি)
১৩. মহররম মাসে নফল রোজা রাখা
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, রমজানের পর সবচেয়ে উত্তম রোজা হচ্ছে- আল্লাহর মাস ‘মহররম’ এর রোজা। (সহিহ মুসলিম: ১১৬৩ আন্তর্জাতিক)
১৪. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো
মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য।’ (সুরা নাবা: ৯-১১) প্রিয়নবী (স.) এশার পূর্বে ঘুমানো এবং পরে গল্পগুজব করা অপছন্দ করতেন। (সহিহ বুখারি: ৫৯৯)
১৫. অসিয়ত লিখে যাওয়া
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে যে, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হবে, যদি সে কোনো সম্পদ রেখে যায়, তবে তা অসিয়ত করবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮০
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম ব্যক্তির উচিত নয় যে, তার অসিয়তযোগ্য কিছু রয়েছে আর সে দু’রাত কাটাবে অথচ তার কাছে তার অসিয়ত লিখিত থাকবে না।’ (সহিহ বুখারি, আসাইয়া, হাদিস: ২৫৮৭)
১৬. অবসরে ইস্তেগফার পাঠ করা
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা নিসা: ১০৬) হাদিস শরিফে নবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর শপথ! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে ৭০ বারেরও বেশি ইস্তিগফার (ক্ষমাপ্রার্থনা) ও তাওবাহ করে থাকি।’ (সহিহ বুখারি: ৬৩০৭)
১৭. সদকা করা
মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, এবং সদকা (জাকাত বা দান খায়রাত) গুনাহসমূহ মিটিয়ে দেয়, যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়। এমনিভাবে গভীর রাতে ব্যক্তির কিয়ামুল লাইল (তাহাজ্জু্দ) গুনাহসমূহকে মিটিয়ে দেয়।’ (মুসনাদ আহমদ: ২২০১৬) রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘তোমারা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ (নিজেকে রক্ষা কর) যদিও তা খেজুরের টুকরা দ্বারাও হয় (সামান্য বস্তু সদকা করতে পারলেও তা কর)’ (সহিহ বুখারি: ১৪১৭; সহিহ মুসলিম: ১০১৬)
১৮ তাওবার নামাজ পড়া
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, কোনো ব্যক্তি গুনাহ করার পর উত্তমরূপে অজু করে দু’রাকআত নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে মাজাহ: ১৩৯৫)
১৯. শুকরিয়ার সেজদা
মহানবী (স.) কোন আনন্দদায়ক সংবাদ শুনলে অথবা শুভ সংবাদ পেলে আল্লাহ তাআলাকে শুকরিয়া জানানোর জন্য সেজদায় পতিত হতেন। (আবু দাউদ, তিরমিজি, মেশকাত: ১৪৯৪)
২০. রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়া
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ঈমানের শাখা ৭০টিরও কিছু বেশি। অথবা ৬০টির কিছু বেশি। এর সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছে (আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই) এ কথা স্বীকার করা, আর এর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা। আর লজ্জা ঈমানের একটি বিশেষ শাখা। (সহিহ মুসলিম: ৫৯, হাদিস একাডেমি)
২১. পানি পান করার সময় পাত্রে নিঃশ্বাস না ফেলা
আবু কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন, তোমাদের কেউ যখন পান করে, তখন সে যেন পাত্রের মধ্যে নিঃশ্বাস না ছাড়ে। আর যখন শৌচাগারে যায় তখন তার পুরুষাঙ্গ যেন ডান হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এবং ডান হাত দিয়ে যেন শৌচকার্য না করে। (সহিহ বুখারি: ১৫৩, তাওহিদ পাবলিকেশন)
২২. আঙুল চেটে খাওয়া
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন খাবার খায়, তখন সে যেন তার আঙুলসমূহ মুছে না ফেলে, যতক্ষণ না সে তা চেটে খায় অথবা কাউকে দিয়ে চাটিয়ে নেয়।’ (বুখারি: ৫১৪০; মুসলিম: ৫৪১৫] তাছাড়া জাবির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) আঙুল ও খাওয়ার পাত্র চেটে খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি বলেন- ‘তোমাদের জানা নেই, তোমাদের কোন খাবারের মধ্যে বরকত রয়েছে।’ (মুসলিম: ৫৪২০)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রিয়নবীর সুন্নাহর ওপর আমল করার এবং হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহগুলো জিন্দা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।